সৌরভ দত্ত : পাস, গতি, ড্রিবল, ডিফেন্স, এবং সর্বোপরি অনুশাসন। এককথায় যাকে বলে দাপুটে ফুটবল। বছরের প্রথম ডার্বির প্রথম ৭০ মিনিট সমর্থকদের সেই দাপুটে ফুটবল উপহার দিল মোহনবাগান। সবুজ-মেরুন ঝড়ের সামনে সেভাবে প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারল না লাল-হলুদ শিবির। ফলে ম্যাচের ৭০ মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। কিন্তু, খেলা এখানেই শেষ নয়। প্রতিরোধ এল উলটোদিক থেকেও। ম্যাচের ৭১ মিনিটে খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে গোল করেন ইস্টবেঙ্গেলর মার্কোস। তারপর থেকেই আক্রমণে ঝড় তোলে লাল-হলুদ শিবির। অনেকটা খোঁচা খাওয়া বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সবুজ মেরুনের উপর। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে হুয়ান মেরার জোরাল শট বারে লেগে ফিরে না এলে সমতা ফেরাতে পারত লাল-হলুদ। প্রথমার্ধে ঝকঝকে ফুটবল উপহার দিয়েছে দুই দলই। বিশেষ করে মোহনবাগান প্রথমার্ধে ছন্দময় এবং আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। যার ফলে বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে সবুজ-মেরুন শিবির। ম্যাচের ১৮ মিনিটেই বেইতিয়ার গোলে এগিয়ে যায় তাঁরা। প্রথমার্ধে আরও একবার ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু, সেই গোল অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায়। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে বক্সের ভিতরে মার্কোসকে ট্যাকেল করেন মোহনবাগানের শংকর। জোরাল পেনাল্টির আবেদন করেন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। যদিও, তা গ্রাহ্য হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান বাবা দিওয়ারা। এটিই মোহনবাগানের জার্সিতে প্রথম গোল তাঁর। এর মিনিট ছয়েকের মধ্যে খেলার গতির বিপরীতে গিয়ে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন মার্কস। তারপর থেকেই খেলার নিয়ন্ত্রণ লাল-হলুদের দখলে চলে যায়। শেষদিকে, বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে তাঁরা। কিন্তু, কোনওটিই কাজে লাগেনি। জয়ের ফলে আই লিগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখল মোহনবাগান। পয়েন্টের ব্যবধানও অনেকটাই বাড়ল। ৮ ম্যাচে তাঁদের পয়েন্ট ১৭। অন্যদিকে, ৭ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট ৮। তাঁরা পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে আছে।
বছরের প্রথম ডার্বিতে জয় পেল মোহনবাগান
