প্রতি বছর বসন্ত পঞ্চমীর দিন সমগ্র বাংলা জুড়ে পালিত হয় সরস্বতী পুজো। দিন প্রতিটি ঘরে ঘরে ও স্কুল এ শুনতে পাওয়া যায় ” জয় জয় দেবী চরাচর সাড়ে,
কুচযুগ শোভিত মুক্তাহারে
বিনা রঞ্জিত পুস্তক হস্তে
ভগবতী ভারতী দেবী নমস্তুতে। “
দেবী সরস্বতীর কথা উঠলেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে শ্বেত পদ্মে অধিষ্টিত শ্বেত বস্ত্র পরিহিত, শ্বেত রাজঁহাস ও বিনা হাথে এক দেবীর চিত্র। কিন্তু আজ কের প্রশ্ন হলো যে, শুধুমাত্র রাজঁহাসই কেন দেবী সরস্বতির বাহান হিসাবে পূজিত হয়ে থাকে ?
বলা হয়ে থাকে যে রাজ্হাঁসের সামনে যদি কেও একটি পাত্রে দুধে জল মিশিয়ে দেয় তাহলে রাজঁহাস সেই মিশ্রণ থেকে শুধু মাত্র দুধ খেয়ে নাই এবং পাত্রে জল পরে থাকে। অর্থাৎ রাজঁহাস সত্য-মিথ্যা, ঠিক-ভুল এর মধ্যে থেকে সত্য ও সঠিক কে বেঁচে নিতে সক্ষম।অর্থাৎ রাজ্হাঁস হলো বিজ্ঞতার প্রতীক। অপর দিকে দেবী সরস্বতী জ্ঞান ও বোধশক্তির দেবী হিসাবে পূজিত হয়ে থাকেন। দেবী সরস্বতি পবিত্রতারও প্রতীক। আর এই জন্যই সাদা রাজঁহাসকে দেবীর বাহন রূপে পুজো করা হয়ে থাকে। রাজহাঁসের সাদা রং দেবীর পবিত্রতা ও দুধ থেকে জল আলাদা করার ক্ষমতা দেবীর জ্ঞানময় ভাবমূর্তিকে তুলে ধরে।
তাই অবশেষে বলা চলে যে, যদি কোনো ব্যাক্তি দেবী সরস্বতীর কাছ থেকে জ্ঞান ও বোধশক্তি লাভের আশা করে তাহলে তাকে হতে হবে রাজহাঁসের মতো বৈশিষ্ট সম্পন্ন, অর্থাৎ মন থেকে পবিত্র এবং বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন যে সত্য-মিথ্যার মধ্যে সত্য এবং ঠিক-ভুলের মধ্যে সঠিক কে বেঁচে নিতে সক্ষম।